- সিলেটের রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮
- জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরিসংখ্যানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
- বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারির ভাষণে দেশ পরিচালনার সব দিক-নির্দেশনা ছিল : প্রধানমন্ত্রী
- করোনা সৃষ্ট সেশন জট কাটাতে ঢাবিকে রোডম্যাপ প্রণয়নের নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
- নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- অপশক্তিকে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে : কাদের
- বিএনপি’র মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথায় জনগণ আতঙ্কিত হয় : তথ্যমন্ত্রী
- আমরা আপনার জন্যে প্রার্থনা করেছি : বঙ্গবন্ধুকে ব্রিটিশ পুলিশ
- বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে : তোফায়েল আহমেদ
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পাল্লা ভারি হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা Thu March 04 2021 ,
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পর এবার সম্প্রচার আইন: পাশ হবে আগামী সংসদে
Published:2018-10-16 13:58:56

মোঃ কামরুজ্জামান:
বেতার, টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে ‘নিয়মের মধ্যে’ রাখতে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনায় সম্প্রচার কমিশন গঠনের বিধান রেখে ‘সম্প্রচার আইন-২০১৮’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দেশে–বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই সরকার সম্প্রচারমাধ্যমগুলোর জন্য নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন এ আইন চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদের আসন্ন শেষ অধিবেশনে পাশ করা হবে এ আইন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে এ ধরণের নির্শনাও দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২১শে অক্টোবর সমাপনী অধিবেশনের প্রথম কার্য়দিবসে তথ্যমন্তী হাসানুল হক ইনু বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন এবং ওদিনই স্পিকার বিলটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে দেবেন। পরবর্তী দু-একদিনের মধ্যে কমিটি বিলটি চূড়ান্ত করে সংসদে উপস্থাপন করবে এবং সে দিনই বিলটি জাতীয় সংসদে পাশ হবে। আর এভাবে সরকার গণমাধ্যমের ন্যূনতম স্বাধীনতার শেষ সুযোগটুকুও বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবিত এ আইনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারে বা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করতে পারে এমন অনুষ্ঠান বা বক্তব্যও প্রচার করা যাবে না। এতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রচার ও অনলাইন মাধ্যমে সরাসরি বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশবিরোধী ও জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য বা উপাত্ত প্রচার করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইনটিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা ও সহিংসতা উৎসাহিত করে অথবা জনশৃঙ্খলা বিনষ্টের আশঙ্কা সৃষ্টি করে, অশ্লীল বা বিদ্বেষমূলক কোনো তথ্য প্রচার করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া সম্প্রচার আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সম্প্রচার ও অনলাইন মাধ্যমে কোনো আলোচনা (টক শো) অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য–উপাত্ত প্রচার করা যাবে না। যেকোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত, গোপনীয় ও মর্যাদাহানিকর তথ্য এবং জনস্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিদ্রোহ, নৈরাজ্য ও হিংসাত্মক ঘটনা প্রচার নিষিদ্ধ করে বলা হয়েছে, কেউ তা করলে অপরাধ হিসেবে শাস্তি পেতে হবে।
গণমাধ্যম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় এর অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
মন্ত্রী সভায় অনুমোদীত এ আইনে টকশোতে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও প্রচার এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও রাষ্ট্রীয় আদর্শ-নীতিমালা পরিপন্থী কিছু প্রচার করলে সম্প্রচার কর্তৃপকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল বা সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে।
আর সম্প্রচার লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য ঘোষিত কেউ সম্প্রচার কার্যক্রম চালালে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।
চার বছর আগে ২০১৪ সালে জারি করা জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায় এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করার পর গণমাধ্যম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এত দিন পর এসে সম্প্রচার আইনের খসড়াতেও ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে ওই নীতিমালার বিধিনিষেধগুলো রাখা হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে সরকার সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এসব দেখভাল করার জন্য সাত সদস্যের কমিশন কাজ করবে। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে কমিশনের হাতে। এই কমিশন সম্প্রচার লাইসেন্স ও অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রস্তাবিত আইনে সাত সদস্যের একটি সম্প্রচার কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ দেবেন। গণমাধ্যম পরিচালনার জন্য গঠিত সম্প্রচার কমিশন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করবে।
গণমাধ্যম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় এর অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এই দুটি আইনের খসড়া সম্পর্কে সরকারকে বেশ কিছু সুপারিশ ও আপত্তি জানিয়েছিল। সেগুলোর বেশির ভাগই উপেক্ষা করা হয়েছে।
সংবাদ ও বিজ্ঞাপন প্রচারে বিধিনিষেধ
সম্প্রচার ও অনলাইন মাধ্যমে সরাসরি বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশবিরোধী ও জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য বা উপাত্ত প্রচার করা যাবে না। দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার পরিপন্থী অনুষ্ঠান বা বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন সামরিক, বেসামরিক ও সরকারি তথ্য প্রচার করা যাবে না। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে শিশুদের পরনিন্দা, বিবাদ ও কলহের দৃশ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারে বা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করতে পারে এমন অনুষ্ঠান বা বক্তব্যও প্রচার করা যাবে না। এসব বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
সম্প্রচার আইনে খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো লাইসেন্স বা নিবন্ধন সরকারের অনুমোদন বা সম্মতি ছাড়া হস্তান্তর করা হলে তা বাতিল বা অকার্যকর হয়ে যাবে। কোনোভাবেই ৪০ শতাংশের বেশি লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। সাজা পেয়েছেন এমন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, ঋণখেলাপি, একবার লাইসেন্স বা নিবন্ধন বাতিল হয়েছে এমন ব্যক্তিরা লাইসেন্স পেতে আবেদন করতে পারবেন না। ভোক্তারা তাদের অসুবিধার বিষয়ে সম্প্রচার বা অনলাইন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ বা নালিশ করতে পারবে। এ জন্য যথেষ্টসংখ্যক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা ও সহিংসতা উৎসাহিত করে অথবা জনশৃঙ্খলা বিনষ্টের আশঙ্কা সৃষ্টি করে, অশ্লীল বা বিদ্বেষমূলক কোনো তথ্য প্রচার করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করা যাবে।
খসড়া অনুযায়ী, সাত সদস্যের কমিশন সম্প্রচারকারী ও অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সহায়ক নির্দেশিকা প্রস্তুত করবে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা এবং জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোনো সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালালে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তি আরোপ, মামলা এবং প্রয়োজনে আরও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
সম্প্রচার কার্যক্রম বলতে দেশ ও বিদেশ থেকে স্যাটেলাইট অথবা টেরিস্ট্রিয়াল পদ্ধতিতে অথবা কেব্লের মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারিত সব ধরনের টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য বিষয়বস্তু প্রচারকে বোঝাবে। ইন্টারনেটভিত্তিক রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্র বা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত স্থির ও চলমান চিত্র, ধ্বনি ও লেখ বা মাল্টিমিডিয়ার অন্য কোনো রূপে উপস্থাপিত তথ্য–উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে। অনলাইন গণমাধ্যমও এর আওতায় পড়বে।
আইনটি সম্পর্কে নোয়াব প্রশ্ন রেখেছিল, সম্প্রচারকারীদের সহায়ক নির্দেশিকা কি জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা–২০১৪ থেকে ভিন্ন কিছু হবে? এ বিষয়টি আইনে পরিষ্কার করা হয়নি।
নোয়াব বলেছিল, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন–২০০৯ কার্যকর থাকার পরও ভোক্তার নালিশ গ্রহণ ও নালিশ নিষ্পত্তিকরণ–সংক্রান্ত ধারাগুলো পরিষ্কার নয়। নালিশ ছাড়াও কমিশনের বিশ্বাস জন্মালে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টিও কোনোভাবে কাম্য নয়। কিন্তু খসড়া আইনে বিষয়টি রাখা হয়েছে।
নোয়াব বলেছিল, ইন্টারনেট যুক্ত করায় মনে হয় ছাপা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণও এই আইনের আওতাধীন। খসড়া আইনেও বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।
গণমাধ্যমকর্মী আইন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগে গণমাধ্যমকর্মীরা চলতেন ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (চাকরির শর্তাবলি) আইন-১৯৭৪’–এর আওতায়। পরে তাঁদের শ্রম আইনের অধীনে আনা হয়। শ্রম আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নতুন আইন পাস হলে গণমাধ্যমকর্মীরা আর শ্রমিক থাকবেন না, তাঁদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অভিহিত করা হবে।
এই আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে কর্মীদের কল্যাণের স্বার্থে ভবিষ্য তহবিল গঠন করতে হবে। এই তহবিল একটি ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত করবে, যেখানে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক এ গণামাধ্যমের কর্মীদের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। প্রতিটি গণমাধ্যমকর্মীকে যেকোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩৬ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। অতিরিক্ত কাজের জন্য ‘অধিক কাল ভাতা’ পাবেন।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, বেসরকারি টেলিভিশন, বেসরকারি বেতার ও অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পৃথক ওয়েজ নির্ধারণ করবে। গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইনের বিভিন্ন ধারা অমান্য করলে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও আদায়ে ছয় মাস জেল হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে নোয়াব ৭ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীদের আইনের খসড়ার ওপর মতামত পাঠায়। গতকাল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া আইনটিতে দেখা যায়, নোয়াবের বেশির ভাগ প্রস্তাবই গ্রহণ করা হয়নি।
নোয়াব বলেছিল, গণমাধ্যমকর্মীর সংজ্ঞায় নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানার শ্রমিকদের অন্তুর্ভুক্ত করা ঠিক হবে না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছাপাখানা সংবাদপত্রের মালিকানাধীন নয়। কিন্তু গণমাধ্যম আইনের খসড়ায় ছাপাখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে রাখা হয়েছে।
নোয়াব বলেছিল, প্রচলিত মজুরি বোর্ড অনুযায়ী চিকিৎসা ভাতা পরিচালিত হওয়া উচিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা ভাতা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সুবিধার মতো হতে পারে না। কিন্তু খসড়া আইনে সরকারি কর্মচারীদের সুবিধা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নোয়াব সরকার মনোনীত ব্যক্তি কে হবেন, তা সুস্পষ্ট করতে বলেছিল। তা ছাড়া একাধিক আইন থাকায় এ ধরনের মীমাংসার বিধান গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত দিয়েছিল। কিন্তু খসড়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে সরকার মনোনীত ব্যক্তি কে হবেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি। এ ছাড়া বলা হয়েছে, এই পদ্ধতিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটাই হবে চূড়ান্ত।
এই আইন লঙ্ঘনকারীদের অপরাধ ও দণ্ড এবং আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা সম্পর্কে নোয়াব আপত্তি জানিয়ে বলেছিল, এটা কিছুটা স্বৈরতান্ত্রিক এবং সুশাসনের পরিপন্থী। কিন্তু খসড়ায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা, সুযোগ–সুবিধা স্থগিত করাসহ জেল–জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আরও সংবাদ
- নতুন তথ্য সচিব খাজা মিয়া যোগদান করেছেন
- সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম খানের মায়ের ইন্তেকাল, শোক প্রকাশ
- অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি জাহাঙ্গীর, সেক্রেটারী মন্টি
- বাংলাদেশ-ভারত গণমাধ্যম সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে : ড. হাছান
- সাাংবাদিক কামরুজ্জামানকে হত্যা চেষ্টা।। বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিবাদ
- সাাংবাদিক কামরুজ্জামানকে হত্যা চেষ্টা।। বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিবাদ
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীতে সচিবালয় অভিমুখে সাংবাদিকদের মিছিল
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে সরকার'
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পর এবার সম্প্রচার আইন: পাশ হবে আগামী সংসদে
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাংবাদিকদের কর্মসূচি পালন
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নৈতিক ও স্বাধীন সাংবাদিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক
- সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে হত্যার হুমকি।। সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিবাদ
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলন
- ৩ মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পাদকদের বৈঠক: ডিজিটাল আইনের ৯ টি ধারা সংশোধনের দাবী
- ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে আজ
- অনলাইন পত্রিকার বুরুদ্ধে তারেকের স্ত্রীর আইনি নোটিশ
- তথ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় : বিএফইউজে
- প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সরকার আতংকগ্রস্থ হয়ে কালো আইন করছে
- বোমা’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- বোমা'র জয়ন্ত সভাপতি ও শরিফুল পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
- বাণিজ্যের জন্য স্থল নৌ আকাশ পথ উন্মুক্ত করতে হবে: ইনু
- সাগর-রুনি হত্যার পাঁচ বছর : খুনীরা কি কোনো দিন ধরা পড়বে?
- সাগর-রুনী হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
- সাংবাদিক মনজুরুল আহসানের পিতার ইন্তেকাল
-
সিলেটের রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮
-
জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরিসংখ্যানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
-
বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারির ভাষণে দেশ পরিচালনার সব দিক-নির্দেশনা ছিল : প্রধানমন্ত্রী
-
করোনা সৃষ্ট সেশন জট কাটাতে ঢাবিকে রোডম্যাপ প্রণয়নের নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
-
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
-
অপশক্তিকে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে : কাদের
-
বিএনপি’র মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথায় জনগণ আতঙ্কিত হয় : তথ্যমন্ত্রী
-
আমরা আপনার জন্যে প্রার্থনা করেছি : বঙ্গবন্ধুকে ব্রিটিশ পুলিশ
-
বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে : তোফায়েল আহমেদ
-
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পাল্লা ভারি হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনার মারা গেছে ২৫ জন, সুুস্থ ৭৩৭
-
সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি আগামীকাল
-
দেশবিরোধী অনলাইন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : জব্বার
-
বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেহ উদ্দিনসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল
-
বঙ্গবন্ধু দেশে না ফিরলে স্বাধীনতা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেত না : ডিএসসিসি মেয়র
-
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
-
একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন শুরু ১৮ জানুয়ারি
-
ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারবে না : কাদের
-
বিএনপি’র গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা জনগণ প্রতিহত করবে : তথ্যমন্ত্রী
-
আগামীকাল বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
-
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যাবো কিভাবে
-
Prison is a safe haven for drug trade
-
যৌবনের গান: কাজী নজরুল ইসলাম
-
ছাত্রলীগ নেতার লিঙ্গ কেটে নিল দু'বোন!
-
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও বিবিএ কোর্স স্বপ্ন দেখায় আকাশ ছোঁয়ার
-
খালা মা
-
হে প্রিয় আল্লামা সাঈদি; আপনার কাছে মাফ চাই: এমপি রনি
-
jamat demands UN supervised inquiry commission of minority attack
-
ফাসঁ হওয়া রায় ও ট্রাইবুনালের রায়ে হুবহু মিল
-
'Tests point to polonium poisoning in Arafat death'
-
Afgan urge US pact deal this year
-
Manny’s victory lifts spirits of typhoon-ravaged Philippines
-
পরিবারের সবার অজান্তেই নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে কেয়া যা করতেন
-
BNP won't cut Jamaat link
-
1 killed by blasts near Party offices in China
-
Emotions run high as Tendulkar farewell begins
-
No deal at Iranian nuclear talks,despite 'concrete progress'
-
নতুন বছরে ছুটির তালিকা
-
সব ঋতুতে সবার জন্য সিনকারা
-
কওমী মাদরাসা পরিচিতি
- সিলেটের রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮
- জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরিসংখ্যানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
- বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারির ভাষণে দেশ পরিচালনার সব দিক-নির্দেশনা ছিল : প্রধানমন্ত্রী
- করোনা সৃষ্ট সেশন জট কাটাতে ঢাবিকে রোডম্যাপ প্রণয়নের নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
- নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- অপশক্তিকে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে : কাদের
- বিএনপি’র মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথায় জনগণ আতঙ্কিত হয় : তথ্যমন্ত্রী
- আমরা আপনার জন্যে প্রার্থনা করেছি : বঙ্গবন্ধুকে ব্রিটিশ পুলিশ
- বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে : তোফায়েল আহমেদ
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পাল্লা ভারি হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী